আল হাদিস এর বাণী (পর্ব-৪)

৬১। সালমান ফারসী থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে, ব্যক্তি আল্লাহর ওয়াস্তে চল্লিশ দিন যাবত প্রথম তাকবীরের সাথে জামাতে নামায পড়বে, তার জন্য দু’টি পরওয়ানা লেখা হয়, একটি জাহান্নম থেকে অপরটি মোনাফেকী থেকে মুক্তির।- তিরমিযী।
৬২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযূ করে নামায পড়ার আশায় মসজিদের দিকে যায়, অথচ মসজিদে গিয়ে দেখে জামাত শেষ, তবু সে জামাতের সওয়াব পাবে।- আবু দাউদ।
৬৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যতক্ষণ মানুষ নামাষের প্রতীক্ষায় থাকে, ততক্ষণ নামাযের সওয়াব লাভ করতে থাকে।- বোখারী, মুসলিম।
৬৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যারা রাতের অন্ধকারে বেশি বেশি মসজিদে গমন করে, তাদের কেয়ামতের দিন পূর্ণ নূরের সূসংবাদ দান কর।- ইবনে মাজা।
৬৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন বান্দার আ’মলসমূহ থেকে সর্বপ্রথম ফরয নামাযসের হিসাব নেওয়া হবে।- তিরমিযী।
৬৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে নামাযের কেরাআত লম্বা তাই শ্রেষ্ঠ নামায।- বায়হাকী।
৬৭। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি শীতের সময় নামায আদায় করতে অভ্যস্ত, সে জান্নতী।- বোখারী।
৬৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কোন ব্যক্তি জামাতে নামাযের মাত্র এক রাকাত পেলেই সে জামাতের সওয়াব পেয়েছে।- বোখারী।
৬৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি আছরের নামায ছেড়ে দিয়েছে, তার সব নেক আ’মল বরবাদ হয়ে গেছে।- বোখারী।

৭০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামায ভূলে যায়, স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করবে, তা না করলে এ গুনাহ মাফ করাবার কোন উপায় নেই।- বোখারী।
৭১। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, লোকেরা যদি ফজর ও এশার নামায জামাতে পড়ার ফযীলত জানত, তা হলে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও নামাযদ্বয়ের জামাতে হাজির হত।- বোখারী।
৭২। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কাতার সোজা করা নামাযের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।- বোখারী।
৭৩। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, কেয়ামতের দিন সাত প্রকার মানুষকে আল্লাহ পাক ছায়া দান করবেন, যার মধ্যে এক প্রকার হচ্ছে, যাদের মন নামাযের ওয়াক্তের সাথে লটকে থাকে, কখন নামাযের ওয়াক্ত হবে এবং মসজিদে গিয়ে নামায আদায় করবে।- বোখারী।
৭৪। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল মসজিদে যায়, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য প্রতি সকালে বিকালে ওই পরিশ্রমের প্রতিফলস্বরূপ বেহেশতে মেহমানদারীর সামগ্রী তৈরী করে রাখেন।- বোখারী।
৭৫। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, ইমাম আল-হামদু সূরা শেষ করে যখন আমীন বলবে, তুমিও তখন আমীন বলো, এ সময় ফেরেশতাগণ আমীন বলে থাকেন। যার আমীন ফেরেশতাদের আমীনের সাথে হবে, তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।- বোখারী।
৭৬। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহ পাক সাত অঙ্গের উপর সেজদা করতে আদেশ করেছেন। দুই হাত, দুই হাঁটু, দুই পায়ের সম্মুখভাগ এবং কপালের সঙ্গে নাকেও ইশারা করে দেখিয়েছেন। আরো আদেশ করেছেন, কাপড় ও মাথার চুল টেনে রাখবে না ।- বোখারী।
৭৭। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমরা সুন্দররূপে স্থিরতার সাথে সেজদা করো। সেজদার সময় দুই হাত কুকুরের ন্যায় যমীনের উপর বিছিয়ে দিও না ।- বোখারী।
৭৮। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, সে কি ভয়ংকর যে ইমামের আগে মাথা উঠায়? আল্লাহ তার মাথা গাধার মাথার ন্যায় করে দিতে পারেন।- বোখারী।
৭৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, যারা কাতারের ডান দিকে থাকেন, নিশ্চয় আল্লাহ এবং তাঁর ফেরেশতগণ তাদের উপর দরূদ পাঠান।-আবু দাউদ।
৮০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, তোমাদের প্রতি নির্ধারিত পাঁচটি নামায পড়, এতে তোমরা তোমাদের রবের বেহেশতে প্রবেশ করবে।- আহমদ, তিরমিযী।

আল হাদিস এর বাণী (পর্ব-৩)

৪১। সত্য লোকের নিকট অপ্রিয় হইলেও তাহা প্রচার কর। -আল হাদিস
৪২। শিক্ষা অর্জনে সূদুর চীন দেশে যেতে হলে যাও। -আল হাদিস
৪৩। মাতা পিতাকে কষ্ট দিবে না। তারা যদি তোমাকে তোমার সন্তান সন্ততি ও বিষয় সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তবুও। -আল হাদিস
৪৪। মানুষের ভিতরে এমন একটি অংশ আছে ওই অংশটি যদি পরিশুদ্ধ হয় তাহলে মানবদেহের পুরো অংশ পরিশুদ্ধ হয়। কিন্তু যদি ওই অংশটি নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে মানবদেহের পুরো অংশ নষ্ট হয়ে যায়। সেই অংশটি হলো ‘আত্মা’। -আল হাদিস
৪৫। দরিদ্রকে দান করিলে সেই দানের জন্য একটি পুরষ্কার আছে। কিন্তু অভাবগ্রস্ত আত্নীয়-স্বজনকে দান করিলে সেই দান করিলে সেই দানের জন্য দুইটি পুরষ্কার আছে, একটি দানের জন্য, অন্যটি আত্নীয়কে সাহায্য করার জন্য। -আল হাদিস
৪৬। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়? তিনি বললেন, ‘ঠিক সময়ে নামায আদায় করা।’ তিনি (আবদুল্লাহ) পুনরায় বললেন, এরপর কোন কাজটি আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়? নবী (সাঃ) বললেন, ‘পিতামাতার সেবা ও আনুগত্য করা। তিনি আবারও জিজ্ঞেস করলেন, এরপর কোন কাজটি? জবাবে নবী (সাঃ) বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা।
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, নবী (সাঃ) আমাকে এগুলোর কথাই বললেন। আমি আরো বেশী জানতে চাইলে তিনি আরও বলতেন। -বুখারী
৪৭। আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন ‘তোমরা বলতো যদি তোমাদের কারো বাড়ীর দরযায় একটি নদী থাকে আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তাহলে কী তার শরীরে কোনরূপ ময়লা থাকবে? জবাবে সবাই বলল, না তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে না। রসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ব্যাপারটিও অনুরূপ। এর সাহায্যে আল্লাহ গুনাহসমূহের (ধুয়ে-মুছে) বিলোপ সাধন করেন। -বুখারী
৪৮। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাঃ) এর সময় যেটি যেমন ছিল তেমনটি এখন আর একটাও দেখতে পাই না। বলা হলো, কেন নামায তো ঠিকই আছে। আনাস (রাঃ) বললেন, সেখানেও যা করার তা কি তোমরা করনি? (অর্থাৎ ঠিক সময়মত নামায আদায় না করে অসময়ে আদায় করে থাকে। -বুখারী
৪৯। যুহরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দামেস্কে আমি আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) এর নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কি কারণে কাঁদছেন? তিনি বললেন, নবী (সাঃ) এর সময় যা যা দেখেছি তার মধ্যে এই নামাযই আজ পর্যন্ত ঠিকমত অবশিষ্ট ছিল (ঠিক সময়ে আদায় করা হতো)। কিন্তু নামাযও এখন নষ্ট হতে চলেছে। -বুখারী
৫০। আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। নবী (সাঃ) বলেছেন, তোমরা নামাযের সিজদায় এতেদাল বা ভারসাম্য সৃষ্টি কর। তোমাদের কেউ যেন কুকুরের মত তার দুই বাহু ছড়িয়ে না দেয়। আর যখন থুথু নিক্ষেপ করার প্রােয়াজন হবে তখন সে সামনে বা ডাইনে থুথু নিক্ষেপ করবে না। কেননা, নামায অবস্থায় সে তার প্রতিপালকের সাথে আলাপরত থাকে। -বুখারী

৫১। আবু হুরাইরা ও আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) উভয়েই রসূলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, যখন গরমের প্রচণ্ডতা বৃদ্ধি পায় (তখন নামায আদায় না করে বরং) বিলম্ব করে ঠাণ্ডা সময়ে নামায আদায় কর। কেননা জাহান্নামের আগুনের তেজক্রিয়তার জন্য গরমের প্রচন্ডতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। (অথবা গরমের প্রচন্ডতা জাহান্নামের আগুনের অংশ বিশেষ)। -বুখারী
৫২। আবুযার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (এক গরমের দিনে) নবী (সাঃ) এর মুয়াযযীন যোহরের নামাযের আযান দেয়ার অনুমতি চাইলে (সাঃ) বললেন, আরে ঠান্ডা হতে দাও, ঠান্ডা হতে দাও। অথবা (বর্ণনাকারী সন্দেহ) বললেন, অপেক্ষা কর। অপেক্ষা কর। তিনি আরো বললেন, গরমের প্রচন্ডতা জাহান্নামের আগুনের তেজক্রিয়তা থেকে সৃষ্টি হয়। সুতরাং গরমের প্রচন্ডতা বৃদ্ধি পেলে ঠান্ডার (যোহরের) নামায পড়। এমনকি আমরা পাহাড়ের টিলায় ছায়া দেখতাম। (তারপর যোহরের নামায পড়তাম)।
৫৩। তোমরা যা ভালোবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা পূন্যলাভ করবে না। । -আল হাদিস
৫৪। মাতা পিতাকে কষ্ট দিবে না। তারা যদি তোমাকে তোমার সন্তান সন্ততি ও বিষয় সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় তবুও। -আল হাদিস
৫৫। সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে। -আল হাদিস
৫৬। ধৈর্য এমন একটি গাছ, যার সারা গায়ে কাটা কিন্তু ফল অত্যন্ত মজাদার। -আল হাদিস
৫৭। যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহ তায়ালা তাহার উপর রহমত বর্ষণ করে না। -আল হাদিস
৫৮। রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য শুপারিশকারী হবে। -আল হাদিস
৫৯। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, বান্দার ঈমান ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হল নামায ত্যাগ করা। -আহমদ
৬০। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় আমল হল ওয়াক্তমত নামায় আদায় করা।– বোখারী

আল হাদিস এর বাণী (পর্ব-২)

২১। রোজা মানুষকে আখেরাত মুখী করে। -আল হাদিস
২২। রমজান সামাজিক সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ব বোধ সৃষ্টি করে। -আল হাদিস
২৩। রমজান আল্লাহর ইবাদতের এক অভূতপূর্ব ট্রেনিং স্বরুপ। -আল হাদিস
২৪। ঈমান না এনে তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। -আল হাদিস
২৫। সালাত জান্নাতের চাবি। -আল হাদিস
২৬। পার্থিব বস্তুর আধিক্যকে ধন বলা যায় না। মানসিক সন্তোষই প্রধান ধন। -আল হাদিস
২৭। ধণী হওয়া ধনের উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে মনের তৃপ্তির উপর। -আল হাদিস
২৮। দারিদ্র্যের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করো। কেননা ইহার অভিশাপ মানুষকে কাফেরে পরিনত করে। -আল হাদিস
২৯। ধনের যদি সদ্ব্যবহার করা হয়, তবে ইহা সুখের কারণ এবং সদুপায়ে ধনবৃদ্ধি করিতে সকলেই বৈধভাবে চেষ্টা করিতে পারে। -আল হাদিস
৩০। তোমরা তোমাদের কথা গোপনে বল অথবা প্রকাশ্যে বল, তিনিতো ( আল্লাহ) অন্তরের বিষয়াদি সম্পর্কে সম্যক অবগত। -আল হাদিস

৩১। রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে বেশী ঘ্রানযুক্ত। -আল হাদিস
৩২। উহাই শ্রেষ্ঠ দান যাহা হৃদয় হইতে উৎসারিত হয় এবং রসনা হইতে ক্ষরিত হইয়া ব্যথিতের ব্যথা দূর করে। -আল হাদিস
৩৩। রমজান আল্লাহ ও বান্দার মাঝে নিতান্ত গোপন ইবাদত তাই এর মাধ্যমে আল্লাহ ও বান্দার মাঝে সম্পর্ক দৃঢ়তর হয়। -আল হাদিস
৩৪। তোমরা দ্বীনের দাওয়াত সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, বিতশ্রদ্ধ করো না। -আল হাদিস
৩৫। রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ। -আল হাদিস
৩৬। জুলুম ও অত্যাচারী লোক কিয়ামতের দিন অন্ধ হইয়া উঠিবে। -আল হাদিস
৩৭। সত্যবাদীরা সুকর্মের পথ দেখায় আর সুকর্ম বেহেশতের পথ দেখায়। -আল হাদিস
৩৮। আল্লাহ তায়ালার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন । -আল হাদিস
৩৯। যে-ব্যক্তি বাক্যে কর্মে ও চিন্তায় সত্য নয়, সে প্রকৃত প্রস্তাবে সত্যনিষ্ঠ নহে। -আল হাদিস
৪০। সন্তান তাঁর নামে পরিচিত হবে যার শয্যায় সে ভূমিষ্ঠ হয়েছে। -আল হাদিস

আল হাদিস এর বাণী (পর্ব-১)

১। রমজান জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল। -আল হাদিস
২। রমজান গুনাহ মোচনের অন্যতম মাধ্যম। -আল হাদিস
৩। রোজা কিয়ামতের দিন মুমিন ব্যক্তির জন্য শুপারিশকারী হবে। -আল হাদিস
৪। রোজার পুরষ্কার আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন। -আল হাদিস
৫। রোজার মাধ্যমে আচার-আচরণ ও চরিত্র সুন্দর হয়। -আল হাদিস
৬। মূর্খের উপাসনা অপেক্ষা জ্ঞানীর নিদ্রা শ্রেয়। -আল হাদিস
৭। সত্য লোকের নিকট অপ্রিয় হইলেও তাহা প্রচার কর। -আল হাদিস
৮। আল্লাহ তায়ালার ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন । -আল হাদিস
৯। তোমরা দ্বীনের দাওয়াত সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, বিতশ্রদ্ধ করো না। -আল হাদিস
১০। পাচটি ঘটনার পূর্বে পাচটি জিনিসকে মূল্যবান মনে করবেঃ তোমার বৃদ্ধ বয়সের পূর্বে তোমার যৌবনকে, ব্যাধির পূর্বে স্বাস্থ্যকে, দরিদ্রতার পূবে সচ্ছলতাকে, কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং মৃত্যুর পুর্বে জীবনকে। -আল হাদিস

১১। ধৈর্য এমন একটি গাছ, যার সারা গায়ে কাটা কিন্তু ফল অত্যন্ত মজাদার। -আল হাদিস
১২। তোমরা মদপান থেকে বিরত থাক। কেননা এটি যাবতীয় অপকর্মের চাবি। -আল হাদিস
১৩। কৃপণ ব্যক্তি খোদা হইতে দুরে, লোকসমাজে ঘৃণিত ও দোজখের নিকটবর্তী। -আল হাদিস
১৪। সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে। -আল হাদিস
১৫। যে স্ত্রী তার স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে মৃত্যুবরন করে,সে জান্নাতবাসিনী হবেন। -আল হাদিস
১৬। ইফতার পর্যন্ত রোজাদারের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন। -আল হাদিস
১৭। রোজাদারের জন্য প্রতিদিন জান্নাতকে সজ্জিত করা হয়। -আল হাদিস
১৮। রমজানের শেষ রাতে সকল উম্মতকে মাফ করা হয়। -আল হাদিস
১৯। যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহ তায়ালা তাহার উপর রহমত বর্ষণ করে না । -আল হাদিস
২০। কোন মুমিন পুরুষ যেন কেন মমিন স্ত্রীকে তাচ্ছিল্য ও অবজ্ঞা না করে। তার আচার আচরনের কোনো একটি অপছন্দনীয় হলেও অন্যটি সন্তোষজনক হতে পারে। । -আল হাদিস

চরিত্র নিয়ে উক্তি, চরিত্র নিয়ে সেরা বাণী

চরিত্র নিয়ে উক্তি, চরিত্র নিয়ে বাণী, উক্তি  চরিত্র সম্পর্কিত বাণী/উক্তি

১। চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষের জন্য, আর চরিত্রহীন পুরুষ চরিত্রহীনা নারীর জন্য। সৎ চরিত্রবতী নারী সৎ চরিত্রবান পুরুষের জন্য, আর সৎ চরিত্রবান পুরুষ সৎ চরিত্রবতী নারীর জন্য।
– আল কুরআন
২। মানুষের চরিত্র সত্য ও সুন্দর হলে তার কথাবার্তাও নম্র ভদ্র হয়।
– হযরত আলী (রাঃ)
৩। নৈতিকতা বিবর্জিত মানুষের চরিত্র বলতে কিছুই থাকে না।
– কবীর চৌধুরী
৪। মানুষ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে যেই ব্যবহারটা করে সেটাই তার আসল চরিত্র।
-রেদোয়ান মাসুদ
৫। প্রতিটি মানুষ চাঁদের মতো, যার একটা অন্ধকার দিক রয়েছে, কিন্ত সেদিক সে কাউকে দেখাতে চায় না।
– মার্ক টোয়েইন
৬। আমাদেরকে প্রচুর টাকা ঢালতে হবে আমাদের স্বভাবের পেছনে, যদি তা আমরা বদলাতে চাই ।
– বিল গেটস
৭। একজন পুরুষ সর্বদা অর্থ উপার্জনের ধান্ধায় থাকে আর একজন মহিলা তার দেহগঠন নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
– বাটলার
৮। মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় তাঁকে খুঁজে বের করুক।
– হুমায়ূন আহমেদ
৯। যে মানুষ যত বেশী সত্য গোপন করতে পারে সে তত বেশী সৎ-চরিত্রবান।
– হুমায়ূন আজাদ
১০। আগে নিজের চরিত্র ঠিক না করে প্রগতিশীলতা দেখানো মানে ভন্ডামি ছাড়া আর কিছু না।
-রেদোয়ান মাসুদ
১১। মানুষের ভাগ্যই আসলে তার চরিত্র।
– হেরাক্লিটাস
১২। নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে হলে নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে জানতে হবে।
– ফ্রান্সিস টম্পসন
১৩। চরিত্র হচ্ছে গাছের মত, পরিচিতি ছায়ার মত।
– আব্রাহাম লিংকন
১৪। জীবন চরিত একমাত্র সত্যিকারের ইতিহাস।
– কার্লাইল
১৫। আমাদের চরিত্র হচ্ছে আমাদের আচার আচরণের ফল ।
– এরিস্টটল (চরিত্র নিয়ে উক্তি)
১৬। মানুষ সবচেয়ে বেশি গালি দেয় অশিক্ষিত মানুষদের অথচ দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ কাজগুলো করে এই শিক্ষিতরাই।
-রেদোয়ান মাসুদ
১৭। আর কী অবাক! ইতিহাসে দেখি সব লুটেরা দস্যুর জয়গানে ঠাঁসা, প্রশস্তি, বহিরাগত তস্করের নামে নানারঙা পতাকা ওড়ায়।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
চরিত্র নিয়ে বাণী, চরিত্র নিয়ে উক্তি

একাকিত্ব নিয়ে উক্তি, একাকীত্ব নিয়ে ৪০ টি বাছাইকৃত বাণী

একাকিত্ব নিয়ে উক্তি, একাকিত্ব নিয়ে বাণী, নিঃসঙ্গতার বাণী, একাকীত্ব নিয়ে স্ট্যাটাসঃ
১। যখন একা থাকার অভ্যাস হয়ে যায় ঠিক তখনি সৃষ্টিকর্তা কিছু মানুষের সন্ধান দেন। যখন তাদেরকে নিয়ে ভালো থাকার অভ্যাস হয়ে যায়, ঠিক তখনি আবার একা হয়ে যেতে হয়।
– জর্জ বার্নার্ড শ
২। তুমি আমার নিঃসঙ্গতার সতীন হয়েছ !
– হেলাল হাফিজ
৩। একা থাকার এই ভালো লাগায় হারিয়ে গিয়েছি, নিঃসঙ্গতা আমাকে আর পাবে না।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৪। নীরবে কাঁদার চেয়ে বড় কষ্ট পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আরা নেই।
– রেদোয়ান মাসুদ
৫। যদি যেতে চাও, যাও আমি পথ হবো চরণের তলে না ছুঁয়ে তোমাকে ছোঁব ফেরাবো না, পোড়াবোই হিমেল অনলে।
– হেলাল হাফিজ
৬। এমন অনেক দিন গেছে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থেকেছি, হেমন্তে পাতা-ঝরার শব্দ শুনবো ব’লে নিঃশব্দে অপেক্ষা করেছি বনভূমিতে।
– রফিক আজাদ
৭। সবচেয়ে খারাপ একাকিত্ব হলো নিজেকেও ভালো না লাগা।
– মার্ক টোয়েইন
৮। কারো জন্য কিছু থেমে না থাকলেও মনে কিছু আক্ষেপ থেকে যায়, যা কোনদিনও শেষ হয় না, শুধু জীবন ভরে কাঁদায়।
-রেদোয়ান মাসুদ
৯। পাখিকে জিজ্ঞেস করো নিরিবিলি, পক্ষপাতহীন পাখি বিস্তারিত সংবাদ জানাবে কী কী ব্যথা এবং আর্দ্রতা রেখেছে দখল করে আশৈশব আমার একালা, আমি কতো একা, কতোখানি ক্ষত আর ক্ষতি নিয়ে বেদনার অনুকূলে প্রবাহিত আমার জীবন।
– হেলাল হাফিজ
১০। প্রত্যেকের বুকের নিভৃতে কিছু দগ্ধ ক্ষত থাকে লুকানো, কিছু অসম্পূর্ণ নির্মাণ, ভাংগাচোরা গেরস্হালি ঘরদোর, প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু নিদ্রাহীন রাত্রি থাকে যাকে চিরদিন নষ্ট নোখের মতো রেখে দিতে হয় কোমল অনিচ্ছার বাগানে যাকে শুধু লুকিয়ে রাখাতেই সুখ, নিজের নিভৃতে রেখে গোপনে পোড়াতেই একান্ত পাওয়া।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

১১। ধ্রুপদী আঙিনা ব্যাপী কন্টকিত হাহাকার আর অবহেলা, যেন সে উদ্ভিদ নয় তাকালেই মনে হয় বিরান কারবালা।
– হেলাল হাফিজ
১২। তোমার দুচোখে এক অস্পষ্ট স্বপ্নের ছায়া, তুমি ভেসে যাও, ভেসে ভেসে চিনে নাও দূরবর্তী কূলের ঠিকানা, অথবা নিজের মুখ দ্যাখো তুমি নিসর্গে, নির্জন আয়নায়।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
১৩। বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই, মন ভালো নেই; ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা সারাদিন ডাকি সাড়া নেই, একবার ফিরেও চায় না কেউ পথ ভুলকরে চলে যায়, এদিকে আসে না আমি কি সহস্র সহস্র বর্ষ এভাবে তাকিয়ে থাকবো শূন্যতার দিকে?
– মহাদেব সাহা
১৪। এই শূন্য ঘরে, এই নির্বসনে কতোকাল, আর কতোকাল! আজ দুঃখ ছুঁয়েছে ঘরবাড়ি, উদ্যানে উঠেচে ক্যাকটাস্ত কেউ নেই, কড়া নাড়ার মতো কেউ নেই, শুধু শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস, এই দীর্ঘ পদধ্বনি।
– মহাদেব সাহা
১৫। পরমাণু বোমার চেয়েও শক্তিশালী বোমা হলো মানুষের বুকফাটা কান্না, একটা বোমা ফাটার শব্দ সারাবিশ্ব শুনতে পায় অথচ মানুষের বুকফাটা কান্না পাশে বসে থাকলেও কেউ শুনতে পায় না।
-রেদোয়ান মাসুদ
১৬। আজ বিষাদ ছুঁয়েছে বুক, বিষাদ ছুঁয়েছে বুক মন ভালো নেই, মন ভালো নেই; তোমার আসার কথা ছিলো, তোমার যাওয়ার কথা ছিলো – আসা-যাওয়ার পথের ধারে ফুল ফোটানোর কথা ছিলো সেসব কিছুই হলো না, কিছুই হলো না; আমার ভেতরে শুধু এক কোটি বছর ধরে অশ্রুপাত শুধু হাহাকার শুধু শূন্যতা, শূন্যতা।
– মহাদেব সাহা
১৭। চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয় চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
১৮। জীবনে যে পরিমান ভালোবাসা পেয়েছি তা দিয়ে কয়েক হাজার বছর বেঁচে থাকা সম্ভব কিন্তু জীবনে গুটি কয়েকজন মানুষের কাছ থেকে যে পরিমান অবহেলা পেয়েছি তা দিয়ে একদিনও বেঁচে থাকা সম্ভব না।
-রেদোয়ান মাসুদ
১৯। আমি একা এই ব্রহ্মান্ডের ভেতর একটি বিন্দুর মতো আমি একা।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
২০। হয়তো আবার একাও থাকবো, কিন্তু সত্যি বলছি একটা সম্পূর্ণ দিন আমরা কিছুই করবনা।।এই হেমন্তে যে নদী মৃত্যুর প্রস্তুতি নেবে আগামী শীতের,তার মতো আমরাও প্রস্তুত হবো আমাদের একটা সারাদিনের জন্নে,এই হেমন্তে।
– নির্মলেন্দু গুণ (একাকীত্ব নিয়ে উক্তি)

২১। যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে! ছবি আমার বুকে বেঁধে পাগল হ’লে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মর” কানন গিরি, সাগর আকাশ বাতাস চিরি’ যেদিন আমায় খুঁজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
– কাজী নজরুল ইসলাম
২২। স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে, কাহার যেন চেনা-ছোঁওয়ায় উঠবে ও-বুকে ছমকে,- জাগবে হঠাৎ চমকে! ভাববে বুঝি আমিই এসে ব’সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে, ধরতে গিয়ে দেখবে যখন শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন! বেদনাতে চোখ বুঁজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
– কাজী নজরুল ইসলাম
২৩। কিছু মানুষের কষ্ট চোখ দিয়ে ঝরে
কিছু মানুষের কষ্ট মেজাজ দিয়ে প্রকাশ করে
কিছু মানুষের কষ্ট হৃদয়ের মাঝে শুকিয়ে মরে
তবে কষ্টকে যারা প্রকাশ করতে না পারে,
তারাই জীবনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে।
– রেদোয়ান মাসুদ
২৪। আসবে আবার শীতের রাতি, আসবে না’ক আর সে- তোমার সুখে প’ড়ত বাধা থাকলে যে-জন পার্শ্বে, আসবে না’ক আর সে! প’ড়বে মনে, মোর বাহুতে মাথা থুয়ে যে-দিন শুতে, মুখ ফিরিয়ে থাকতে ঘৃণায়! সেই স্মৃতি তো ঐ বিছানায় কাঁটা হ’য়ে ফুটবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
– কাজী নজরুল ইসলাম
নিঃসঙ্গতার উক্তিঃ
২৫। দিনশেষে আমরা সবাই একা।
-অজানা
২৬। তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা-বন্ধ, আমার মতন কেঁদে কেঁদে হয়ত হবে অন্ধ- সখার কারা-বন্ধ! বন্ধু তোমার হানবে হেলা ভাঙবে তোমার সুখের মেলা; দীর্ঘ বেলা কাটবে না আর, বইতে প্রাণের শান- এ ভার মরণ-সনে বুঝ্বে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
– কাজী নজরুল ইসলাম
২৭। গাইতে ব’সে কন্ঠ ছিঁড়ে আসবে যখন কান্না, ব’লবে সবাই-“ সেই যে পথিক তার শেখানো গান না?’’ আসবে ভেঙে কান্না! প’ড়বে মনে আমার সোহাগ, কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ! প’ড়বে মনে অনেক ফাঁকি অশ্র”-হারা কঠিন আঁখি ঘন ঘন মুছবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
– কাজী নজরুল ইসলাম
২৮। ছবি আমার বুকে বেধে পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মরু কানন গিরি সাগর আকাশ বাতাশ চিরি সেদিন আমায় খুজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
২৯। গাইতে গিয়ে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না বলবে সবাই- সেই যে পথিক তার শোনানো গান না?- আসবে ভেঙ্গে কান্না, পড়বে মন আমার সোহাগ কন্ঠে তোমার কাদবে বেহাগ পড়বে মনে আমার ফাকি অশ্রুহারা কঠিন আখি ঘন ঘন মুছবে, বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম

৩০। আসবে আবার আশিন হাওয়া, শিশির ছেচা রাত্রি থাকবে সবাই- থাকবে না এই মরন পথের যাত্রীই আসবে শিশির রাত্রি, থাকবে পাশে বন্ধু সুজন থাকবে রাত বাহুর বাধন বধুর বুকের পরশনে আমার পরশ আনবে মনে বিষিয়ে ও বুক উঠবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
৩১। তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা বন্ধ আমার মত কেদে কেদে হয়তো হবে অন্ধ সখার কারা বন্ধ, বন্ধু তোমার হানবে হেলা ভাঙ্গবে তোমার সুখের খেলা দীর্ঘ লো কাটবে না আর বইতে প্রাণ শ্রান্ত এ ভার সরন মনে যুঝবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
৩২। ফুটবে আবার দোলন চাপা, চৈতি রাতের চাদনী আকাশ ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাদনি চৈতি রাতের চাদনী ঋতুর পরে ফিরবে ঋতু সেদিন হে-মোর সোহাগ ভীতু চাইবে কেদে নীল নভোগায় আমার মত চোখ ভরে চায় যে তারা, তায় খুজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
৩৩। আমার বুকের যে কাটা ঘা, তোমায় ব্যাথা হানত সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়তো হয়ে শ্রান্ত আসব তখন পান্থ, হয়তো তখন আমার কোলে সোহাগ লোভে পড়বে ঢোলে আপনি সেদিন সেধে-কেদে চাপবে বুকে বাহুয় বেধে চরন চুমে পূজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
৩৪। তুমি জানো না__আমি তো জানি, কতোটা গ্লানিতে এতো কথা নিয়ে এতো গান, এতো হাসি নিয়ে বুকে নিশ্চুপ হয়ে থাকি।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৩৫। কখনও কখনও মানুষ সুখের চেয়ে দূঃখকেই বেশি পছন্দ করে। মানুষ যখন একটানা দীর্ঘ সময় কষ্টে থাকে তখন কষ্টের সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায়। আর সে কখনও চায় না সেই কষ্টের স্মৃতিগুলো ভুলে সুখের সঙ্গী হতে। তাই পিছনে ফেলে আসা কষ্টের স্মৃতিগুলোই সবসময় তাকে তাড়া করে বেড়ায়। আর এ কষ্টগুলোই তখন তার কাছে সুখের চেয়ে বড্ড মধুর লাগে।
– রেদোয়ান মাসুদ
৩৬। আত্মগত আমি আবার নিজের কাছে প্রশ্ন করি নিঃশব্দের এমন রাতে বুকের মাঝে শব্দ কেন?
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৩৭। কিছু কিছু মানুষের জন্য এ পৃথিবীটা কোন উপযুক্ত স্থান নয়, তাদের জন্য এ পৃথিবীটা যেন এক সমুদ্র জল।
– রেদোয়ান মাসুদ
৩৮। যেতে যেতে এই বাস থেমে যাবে বকুল তলায় যাত্রীরা পড়বে নেমে যে যার মতোন।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৩৯। মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে, একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে-শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জামগাছের পাতায় সরসর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হা-হা করে উঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শুণ্যতায় কি বিপুল বিষণ্নতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবেছি।
– হুমায়ূন আহমেদ
৪০। প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পুড়িয়ে মারি প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পাঠাই নির্বাসনে ভালবাসা কি ভীষণ প্রতারক হৃদয় ভেঙেছে যার সেই জানে।
– জয় গোস্বামী
৪১। নিসঙ্গ টেবিলে পা তুলে অসভ্য ভাষায় আমি একাকি বোসে আছি নিখুঁত পোট্রেট।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৪২। বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন, এইতো মাধুরী, এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত! তুমি জানো নাই__আমি তো জানি। মাটি খুঁড়ে কারা শস্য তুলেছে, মাংশের ঘরে আগুন পুষেছে, যারা কোনোদিন আকাশ চায়নি নীলিমা চেয়েছে শুধু, করতলে তারা ধ’রে আছে আজ বিশ্বাসী হাতিয়ার।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৪৩। বিদায়ের সেহনাই বাজে নিয়ে যাবার পালকি এসে দাঁড়ায় দুয়ারে সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে এই যে বেঁচে ছিলাম দীর্ঘশ্বাস নিয়ে যেতে হয় সবাইকে অজানা গন্তব্যে হঠাৎ ডেকে ওঠে নাম না জানা পাখি অজান্তেই চমকে ওঠি জীবন, ফুরালো নাকি! এমনি করে সবাই যাবে, যেতে হবে…।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

বাণী 

প্রেম নিবেদনের সেরা উক্তি, প্রেম নিবেদনের ২০ টি বাণী

১. তুমি, শুধু তুমি কাছে থাকলে আমি বুঝি আমি বেঁচে আছি। অন্য পুরুষরা দাবি করে, তারা নাকি পরীর দেখা পেয়েছে। আমি দেখেছি শুধু তোমাকে, আর সেটুকুই আমার পক্ষে যথেষ্ট।
— জর্জ মুর
২. প্রকৃত প্রেমিক হলেই ভালোবাসা পাওয়া যাবে না, ভালোবাসা পেতে হলে আপনাকে হতে হবে প্রকৃত অভিনেতাও।
-রেদোয়ান মাসুদ
৩. হৃদয়ের সবটুকু দিয়ে তোমার কাছে মিনতি করছি, তোমার মন আর আমাদের মধ্যেকার ভালবাসার সবটুকু আমাকে জানতে দিও।
— সম্রাট অষ্টম হেনরি
৪. তুমি যদি কাউকে ভালোবাস,তবে তাকে ছেড়ে দাও।যদি সে তোমার কাছে ফিরে আসে,তবে সে তোমারই ছিল।আর যদি ফিরে না আসে,তবে সে কখনই তোমার ছিল না। – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৫. এসো, আমরা প্রেমকে অমর করে দিই।
— হার্বার্ট ট্রেঞ্চ
৬. ভুলে থাকা যায় সুন্দর পৃথিবী ভুলে থাকা যায় জোছনা রাতের আলো, ভুলে থাকা যায় নদীর কলরব ভুলে থাকা যায় না শুধু তোমার চুলের কালো।
-রেদোয়ান মাসুদ
৭. আমি তোমায় ভালবাসি, আমৃত্যু ভালবাসব, আর মৃত্যূত্তর জীবন বলে যদি কিছু থাকে সেই জীবনেও ভালবেসে যাব তোমাকে।
— কাসান্দ্রা ক্লেয়ার
৮. আমার অন্তরতম অন্তরে, যেখানে আমি একেবারে একা, সেখানে তোমার ঝর্ণাধারা কখনও শুকোবার নয়।
— পার্ল এস বাক
৯. তোমার কাছে আমার যত ঋণ
সে ঋণ কভু শোধ হবার নয়,
যতই করি অর্থ ব্যয় আর
যতই করি দিবস অপচয়…
— জেসি বেল রিটেনহাউস
১০. সবচেয়ে জরুরি কথাটিই বলা সবচেয়ে কঠিন, কারণ শব্দের বাঁধনে কথার অর্থ খাটো হয়ে আসে।
— স্টিফেন কিং
১১। নীতিবাক্য আর প্রেম একসাথে চলতে পারে না। আপনি যদি কোনো মেয়েকে ভালোবাসেন অথবা ভালোবাসতে চান তাহলে তাকে কখনও নীতিবাক্য শোনাবেন না। নীতিবাক্য শোনালে মেয়েরা কখনোই আপনার প্রেমে পড়বে না।
-রেদোয়ান মাসুদ
১২। ভালবাসা কী তা জানতে পেরেছি তোমার জন্যই।
— হারমান হেস

১৩। কিছু চোখ তোমার দিকে বাঁকা নজরে তাকাবে, কিছু হৃদয় তোমাকে আপন করে নিতে চাইবে, আর কিছু কণ্ঠ তোমাকে মধুর সূরে ডাকবে। তাই বলে তুমি সবার দিকে তাকাতে পার না, সবার হৃদয়ের সাথে হৃদয় মিলাতে পার না, সবার কণ্ঠে কণ্ঠ দিতে পার না। তোমাকে এমন একজনকে বেছে নিতে হবে যে তোমার চেহারা দেখে ভালোবাসে না, ভালোবাসে শুধু তোমার হৃদয় দেখে।
— রেদোয়ান মাসুদ
১৪। আমি তোমাকে অসংখ্যভাবে ভালবেসেছি, অসংখ্যবার ভালবেসেছি, এক জীবনের পর অন্য জীবনেও ভালবেসেছি, বছরের পর বছর, সর্বদা, সবসময় – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
১৫। তুমি আমায় ভালবাস তাই তো আমি কবি আমার এ রূপ সে যে তোমার ভালবাসার ছবি । – কাজী নজরুল
১৬। দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম প্রেম বলে কিছু নেই। মানুষ যখন প্রেমে পড়ে, তখন প্রতিটি প্রেমই প্রথম প্রেম।
– হুমায়ূন আজাদ।
১৭। আমি থাকি তোমার প্রহরী তোমাকে যখন দেখি, তার চেয়ে বেশী দেখি যখন দেখিনা।
– সুনীলগঙ্গোপাধ্যায়।
১৮। তাকে যে আমি ভালোবাসি তার রুপে গুনে নয়, তাকে না ভালোবেসে থাকতে পারি না।
-সমরেশ মজুমদার
১৯। আমার তৃষ্ণা তোমার সুধা তোমার তৃপ্তি আমার সুধা।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২০। তোমাকে ভুলতে চেয়ে তাই আরো বেশি ভালোবেসে ফেলি, তোমাকে ঠেলতে গিয়ে দূরে আরো কাছে টেনে নেই যতোই তোমার কাছ থেকে আমি দূরে যেতে চাই ততো মিশে যাই নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে।
– মহাদেব সাহা
২১। তোমাকে যে ভালবাসি তা কেবল তুমি কেমন মানুষ তা দেখে নয়, তোমার সংস্পর্শে আমি যেমনটা হয়ে উঠি তার আকর্ষণেও।
— এলিজাবেথ ব্যারেট ব্রাউনিং
২২। ওহ, এতো ভাল তাকে আমি বেসেছি , ঘৃনার কোন অনুভূতিই না থাকে তার প্রতি।
-জাঁ রাসিন
২৩। যদি কখনও কাউকে ভাল লেগে যায় সম্ভব হলে তাকে জানিয়ে দাও। সে যদি তোমাকে ফিরিয়ে দেয় হয়তোবা তুমি কয়েক দিনের জন্য কষ্ট পাবে। কিন্তু তুমি যদি তাকে তোমার মনের কথাটি না বলতে পার, তাহলে জীবন ভরে আফসোস করবে।
— রেদোয়ান মাসুদ

মৃত্যু নিয়ে উক্তি, মৃত্যু নিয়ে ৩০ টি সেরা বাণী

মৃত্যু নিয়ে উক্তি, মৃত্যু নিয়ে বাণী
১। সকল জীবকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করিতে হইবে। -আল-কুরআন
২। মানুষের কিসের এত অহংকার ।যার শুরু একফোটা রক্তবিন্দু দিয়ে আর শেষ হয় মৃত্তিকায় ”
― হযরত আলি রাঃ
৩। পিপড়ে আর বুনোরা আগন্তুককে অক্কা পাইয়ে ছাড়ে।
– বারট্রান্ড রাসেল
৪। মৃত্যু কি সহজ, কি নিঃশব্দে আসে অথচ মানুষ চিরকালই জীবন নিয়ে গর্ব করে যায়।
– সমরেশ মজুমদার
৫। মানুষের মন যেদিন ক্লান্ত হয় সেদিনই তার মৃত্যু হয়।
-রেদোয়ান মাসুদ
৬। কেউ বা মরে কথা বলে, আবার কেউ বা মরে কথা না বলে।
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৭। এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ …
– নবারুণ ভট্টাচার্য
৮। মৃত্যু নিয়ে আমি ভীত নই। কিন্তু মরার জন্য তাড়াও নেই আমার। তার আগে করার মতো অনেক কিছু আছে আমার।
-স্টিফেন হকিং
৯। আমি মনে করি মৃত্যু হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে অসাধারণ উদ্ভাবন। এটি জীবন থেকে পুরোনো ও সেকেলে জিনিস থেকে মুক্ত করে।
– স্টিভ জবস
১০। ভীতুরা আত্মহত্যা করে কিন্তু জ্ঞানীরা বেঁচে থাকার বিকল্প খুঁজে।
-রেদোয়ান মাসুদ

১১। ইহকাল ভুলে যারা পরকালে মত্ত হয়ে আছে চলে যাক সব পরপারে বেহেস্তে তাদের আমরা থাকবো এই পৃথিবীর মাটি জলে নীলে, দ্বন্দ্বময় সভ্যতার গতিশীল স্রোতের ধারায় আগামীর স্বপ্নে মুগ্ধ বুনে যাবো সমতার ব…।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
১২। বর্ষাকালে এখানে, শীত-গ্রীষ্মে ওখানে বাস করবো – মূর্খরা এভাবেই চিন্তা করে। শুধু জানে না জীবন কখন কোথায় শেষ হয়ে যাবে।
– গৌতম বুদ্ধ
১৩। বাক্যবাণ ও বিচ্ছেদবাণ সহ্য করিতে পারিলে মৃত্যুকেও হটাইয়া দেওয়া যায়।
– লোকনাথ ব্রহ্মচারী
১৪। মৃত মানুষদের জন্য আমরা অপেক্ষা করি না। আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্য।
-হুমায়ুন আহমেদ
১৫। যেতে যেতে এই বাস থেমে যাবে বকুল তলায় যাত্রীরা পড়বে নেমে যে যার মত।…
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
১৬। আমি ওষ্ঠে মৃত্যুর স্বাদ পাচ্ছি, যা অপার্থিব৷
– ভল্ফগাং আমেডিয়াস মোৎসার্ট
১৭। বন্ধুরা হাততালি দাও, কেননা মজা শেষ হয়ে গেছে৷
– লুডভিগ ফান বেটোফেন
১৮। ভুল ভেঙে গেলে ডাক দিও, আমি মৃত্যুর আলিঙ্গন ফেলে আত্মমগ্ন আগুন ললাটের সৌমতায় তোমার লিখে দেবো একখানা প্রিয় নাম – ভালোবাসা।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

১৯। মৃত্যু হচ্ছে একটা শ্বাশত ব্যাপার। একে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আমরা যে বে্ঁচে আছি এটাই একটা মিরাকল।
-হুমায়ুন আহমেদ (মৃত্যু নিয়ে উক্তি)
২০। আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম, এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি।
– নির্মলেন্দু গুণ
২১। আমাদের কিছুই ছিল না অথচ প্রতিদিনই আমারা কিছু না কিছু হারাই, আবার নতুন কিছু হারানোর ভয়ে থাকি। আমাদের জন্ম হয়েছে খালি হাতে মৃত্যু হবে খালি হাতে অথচ চলে যাওয়ার সময় অনেক না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে যাই।
-রেদোয়ান মাসুদ
২২। জম্মিলে মরিতে হবে অমর কে কোথা কবে? চিরস্থির কবে নীর হায়রে জীবন নদে?
– মাইকেল মধুসূদন দত্ত
২৩। সব মৃত্যুই কষ্টের,সুখের মৃত্যু তো কিছু নেই।
-হুমায়ুন আহমেদ
২৪। মৃত্যুকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন ঈশ্বর! নইলে মৃতদের সকল দায় নিজের কাঁধে নেবেন কেন?
– এজি মাহমুদ
২৫। অসম্ভব ক্ষমতাবান লোকেরা প্রা্য় সময়ই নিঃসঙ্গ অবস্থায় মারা যায়।
-হুমায়ুন আহমেদ
২৬। ভীরুরা মরার আগে বারে বারে মরে। সাহসীরা মৃত্যুর স্বাদ একবারই গ্রহণ করে।
– উইলিয়াম শেক্সপিয়র
২৭। বিদায়ের সেহনাই বাজে নিয়ে যাবার পালকি এসে দাঁড়ায় দুয়ারে সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে এই যে বেঁচে ছিলাম দীর্ঘশ্বাস নিয়ে যেতে হয় সবাইকে অজানা গন্তব্যে হঠাৎ ডেকে ওঠে নাম না জানা পাখি অজান্তেই চমকে ওঠি জীবন, ফুরালো নাকি! এমনি করে সবাই যাবে, যেতে হবে…।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
২৮। আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে।যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না। -হুমায়ুন আহমেদ
২৯। মৃত্যু যতটা না ক্ষতিকর তার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর হলো এর ভয়।
— রবার্ট হেরিক।
৩০। আমি মনে করি, মৃত্যু হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে অসাধারণ উদ্ভাবন । এটি জীবন থেকে পুরনো ও সেকেলে জিনিস থেকে মুক্ত করে ।
— স্টিভ জবসসাইরাস
মৃত্যু নিয়ে উক্তি, মৃত্যু নিয়ে বাণী

বিশ্বাস নিয়ে উক্তি , বিশ্বাস নিয়ে ২০ টি বাণী

বিশ্বাস নিয়ে উক্তি , বিশ্বাস নিয়ে বাণী, বিশ্বাসের বাণী  : বিশ্বাস  হচ্ছে কোনো ব্যক্তি, বস্তু, জগত অথবা কোনো অদৃশ্য শক্তির উপর আস্থা। মানুষ তার উপরই আস্থা রাখে যাকে সে বিশ্বাস করে। বিশ্বাসের বিপরীত হলো অবিশ্বাস। বিশ্বাস ছাড়া কেউ চলতে পারে না।  হয়তো কেউ অনুকুলকে বিশ্বাস করে না কিন্তু এই নয় যে তার বিশ্বাস নেই তার বিশ্বাস আছে প্রতিকুলে ।  মানে মানুষ কোনো না কোনো বস্তু বা ব্যক্তিকে ঠিকই বিশ্বাস করে। কথায় আছে কেউ মদ বেঁচে দুধ খায়, আবার কেউ দুধ বেঁচে মদ খায়। বিশ্বাসের ব্যাপারটা ঠিক এমনই। তবে বিশ্বাস ছাড়া মানুষ বড় হতে পারে না। একজন মানুষকে সর্ব প্রথম বিশ্বাস করতে হবে নিজেকে। নিজের প্রতি নিজের আস্থা বা বিশ্বাস মানুষকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। আবার মানুষকেও বিশ্বাস করতে হবে। আপনাকে কারো প্রতি না কারো প্রতি বিশ্বাস বা আস্থা রাখতেই হবে। মানুষ সামাজিক জীব সে একা চলতে পারে না। চারিপাশের পারিবেশের সাথে তাকে মানিয়ে নিতে হয়। কিন্তু সবাইকে বিশ্বাস করা যাবে না। অনেক চিন্তা ও বিচার বিবেচনা করে কাউকে বিশ্বাস করতে হবে। কথায় আছে বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর। তাই বিশ্বাস আমাদের জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  তবে আজকাল বিশ্বাস শব্দটি কেমন যেন বিলুপ্তির পথে, কাউকে বিশ্বাস করা খুবই কঠিন। কেউ এখন আর বিশ্বাসের মূল্য রাখতে চায় না। চারিদিকে শুধু  বিশ্বাসঘাতকতা বেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বাসের বাণী কাঁদছে নিভৃতে। তারপরেও আমাদের বিশ্বাস করতে হবে তবে অনেক সর্তকতার সাথে। বিশ্বাস নিয়ে উক্তি বা বিশ্বাস নিয়ে বাণী পড়লে আমরা এ সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পাবো। বিশ্বাস নিয়ে উক্তি ঃ

১। প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক, কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশী বিপদজনক।
– আব্রাহাম লিংকন
২। আঁধারে প্রেতাত্মাকে তবু বিশ্বাস করা চলে; দু’নম্বর মানুষকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই!
– এজি মাহমুদ
৩। যে বিজ্ঞানকে অল্প জানবে সে নাস্তিক হবে, আর যে ভালো ভাবে বিজ্ঞানকে জানবে সে অবশ্যই ঈশ্বরে বিশ্বাসী হবে।
– ফ্রান্সিস বেকন
৪। বিশ্বাস হচ্ছে সাফল্য আর্জনের সিঁড়ি।
-রেদোয়ান মাসুদ
৫। বিশ্বাস জীবনকে গতিময়তা দান করে, আর অবিশ্বাস জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।
– জন মিলটন
৬। কেহ বিশ্বাস করে, কেহ করে না। যে বিশ্বাস করে সেও সত্য-মিথ্যা যাচাই করে না, যে অবিশ্বাস করে সেও না। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নটা নির্ভর করে মানুষের খুশির উপর।
– মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
৭। একজন ভাল মানুষ হবার জন্যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করা আবশ্যক নয়। একদিক থেকে প্রচলিত ঈশ্বরের ধারণা পুরাতন হয়ে গেছে। একজন মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস না করেও আধ্যাত্নিক হতে পারেন। কাউকে উপাসনালয়ে গিয়ে দান করেই ধর্ম পালন করতে হবে এমন কথা নেই; কারো জন্যে প্রকৃতিই হতে পারে উপাসনালয়। পৃথিবীর ইতিহাসে উৎকৃষ্ট কিছু মানুষ ছিলেন যারা ঈশ্বর বিশ্বাসী ছিলেন না; আবার কিছু নিকৃষ্টতম কাজ করা হয়েছে ঈশ্বরের নামে।
– পোপ ফ্রান্সিস
৮। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর।
-প্রবাদ
৯। অন্ন! অন্ন! যে ভগবান এখানে আমাকে অন্ন দিতে পারেন না তিনি যে আমাকে স্বর্গে অনন্ত স্বুখে রাখিবেন – ইহা আমি বিশ্বাস করি না।
– স্বামী বিবেকানন্দ
১০। কোনো কিছু পাওয়া না গেলে আমরা ডাইনোসরের সাথে তুলনা করি বা স্মরণ করি অথচ বর্তমান সময়ে সবচেয়ে দুষ্প্রাপ্য জিনিস হচ্ছে বিশ্বাস।
-রেদোয়ান মাসুদ
১১। আমার যাহা ইচ্ছা তাহাই করিতে পারি, তোদের বিশ্বাস নাই, কাজেই ফলও হয় না।
– লোকনাথ ব্রহ্মচারী

১২। আমরা যা শিখছি তা যদি আমাদের বিশ্বাসের উপর কোন প্রভাব ফেলতে না পারে, আমাদেরকে আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে যেতে না পারে, আমাদের বিশ্বাসকে আরো মজবুত করতে না পারে তাহলে এর অর্থ হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্যে, নিয়্যতে ভুল আছে।
– বিলাল ফিলিপস
১৩। বিশ্বাস হচ্ছে সবচেয়ে মুল্যবান আবার সবচেয়ে সস্তা সম্পদ কারন একটা বিশ্বাস তৈরি করতে সময় লাগে সারা জীবন, অথচ সেটি ভাংতে লাগে মাত্র কয়েকটি সেকেন্ড। – রেদোয়ান মাসুদ
১৪। বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন, এইতো মাধুরী, এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত! তুমি জানো নাই__আমি তো জানি। মাটি খুঁড়ে কারা শস্য তুলেছে, মাংশের ঘরে আগুন পুষেছে, যারা কোনোদিন আকাশ চায়নি নীলিমা চেয়েছে শুধু, করতলে তারা ধ’রে আছে আজ বিশ্বাসী হাতিয়ার।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
১৫। কিছু কিছু সময় আসে যখন আমরা বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের সীমারেখায় অবস্থান করি। তখন আমরা একই সঙ্গে দেখতে পাই ও পাই না। বুঝতে পারি ও পারি না। অনুভব করতে পারি ও পারি না। সে বড় রহস্যময় সময়।
– হুমায়ূন আহমেদ
১৬। এমন কাজ করোনা যেন মানুষ তোমার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে।
-ম্যাক রিচাড।
১৭। যখন তোমার নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস আছে তখন অন্য কাউকে লাগবে না তোমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য।
-অস্কার ওয়াইল্ড।
১৮। নিজেকে পুরোপুরিভাবে বিশ্বাস করতে যে ভয় করে সে কখনো জীবনে সফল হতে পারবেনা।
-জয় কালিগ।
১৯। অন্ধকারে হাটতে গেলে টর্চ লাইট এর দরমার নেই দরকার শুধু বিশ্বাস নামক আলোর।
-সংগৃহীত।
২০। বিশ্বাস প্রতিটি মানুষের কাছে নিজের সবথেকে শক্তিশালী অ’স্ত্র।
-লিনিওল নাপোলি।
২১। আমি ৮২ জনকে নিয়ে বিপ্লব শুরু করি। তা যদি আমাকে আবার করতে হয়, তবে আমি ১০ বা ১৫ জনকে নিয়ে করব এবং সম্পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে করব। সংখ্যায় আপনি কত কম, সেটা কোনো বিষয় নয়, যদি আপনার বিশ্বাস ও কর্মপরিকল্পনা থাকে।
– ফিদেল কাস্ত্রো

আরও পড়ুন… বন্ধু নিয়ে উক্তি

কর্ম নিয়ে উক্তি, কাজ নিয়ে বাণী

কর্ম নিয়ে উক্তি, কাজ নিয়ে বাণী
১। যারা হৃদয় দিয়ে কাজ করতে পারে না; তাদের অর্জন অন্তঃসারশূন্য, উৎসাহহীন সাফল্য চারদিকে তিক্ততার উদ্ভব ঘটায়।
– এ পি জে আব্দুল কালাম
২। যদি তুমি তোমার কাজকে স্যালুট কর, দেখো তোমায় আর কাউকে স্যালুট করতে হবে না। কিন্তু তুমি যদি তোমার কাজকে অসম্মান কর, অমর্যাদা কর, ফাঁকি দাও, তাহলে তোমায় সবাইকে স্যালুট করতে হবে।
– এ পি জে আব্দুল কালাম
৩। জীবন চলার পথে বাঁধা আসতেই পারে তাই বলে থেমে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। যেখানে বাঁধা আসবে সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে।
– রেদোয়ান মাসুদ
৪। এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না, যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে
– অ্যালবার্ট আইনস্টাইন
৫। বেশী কথা বলা, তা যতই মূল্যবান হউক নির্বুদ্ধিতার নিদর্শন।
– এরিস্টটল
৬। সফল হতে হলে মনের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়।
-রেদোয়ান মাসুদ
৭। আমাদের জীবন আমাদের ইচ্ছার উপর নয় আমাদের কর্মের উপর দন্ডায়মান ।
-পিথাগোরাস
৮। কেন পান্থ ক্ষান্ত হও হেরি দীর্ঘ পথ, উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ?
-কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার
০৯। পৃথিবীতে এমন কোনো কাজ নেই যা করলে জীবন ব্যার্থ হয়। জীবন এতই বড় ব্যাপার যে একে ব্যার্থ করা খুবই কঠিন
– হুমায়ূন আহমেদ
১০। মানুষের মন যেদিনই ক্লান্ত হয় সেদিনই তার মৃত্যু হয়।
-রেদোয়ান মাসুদ
কর্ম নিয়ে উক্তি, কাজ নিয়ে বাণী