একাকিত্ব নিয়ে উক্তি, একাকিত্ব নিয়ে বাণী, নিঃসঙ্গতার বাণী, একাকীত্ব নিয়ে স্ট্যাটাসঃ
১। যখন একা থাকার অভ্যাস হয়ে যায় ঠিক তখনি সৃষ্টিকর্তা কিছু মানুষের সন্ধান দেন। যখন তাদেরকে নিয়ে ভালো থাকার অভ্যাস হয়ে যায়, ঠিক তখনি আবার একা হয়ে যেতে হয়।
– জর্জ বার্নার্ড শ
২। তুমি আমার নিঃসঙ্গতার সতীন হয়েছ !
– হেলাল হাফিজ
৩। একা থাকার এই ভালো লাগায় হারিয়ে গিয়েছি, নিঃসঙ্গতা আমাকে আর পাবে না।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৪। নীরবে কাঁদার চেয়ে বড় কষ্ট পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আরা নেই।
– রেদোয়ান মাসুদ
৫। যদি যেতে চাও, যাও আমি পথ হবো চরণের তলে না ছুঁয়ে তোমাকে ছোঁব ফেরাবো না, পোড়াবোই হিমেল অনলে।
– হেলাল হাফিজ
৬। এমন অনেক দিন গেছে আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় থেকেছি, হেমন্তে পাতা-ঝরার শব্দ শুনবো ব’লে নিঃশব্দে অপেক্ষা করেছি বনভূমিতে।
– রফিক আজাদ
৭। সবচেয়ে খারাপ একাকিত্ব হলো নিজেকেও ভালো না লাগা।
– মার্ক টোয়েইন
৮। কারো জন্য কিছু থেমে না থাকলেও মনে কিছু আক্ষেপ থেকে যায়, যা কোনদিনও শেষ হয় না, শুধু জীবন ভরে কাঁদায়।
-রেদোয়ান মাসুদ
৯। পাখিকে জিজ্ঞেস করো নিরিবিলি, পক্ষপাতহীন পাখি বিস্তারিত সংবাদ জানাবে কী কী ব্যথা এবং আর্দ্রতা রেখেছে দখল করে আশৈশব আমার একালা, আমি কতো একা, কতোখানি ক্ষত আর ক্ষতি নিয়ে বেদনার অনুকূলে প্রবাহিত আমার জীবন।
– হেলাল হাফিজ
১০। প্রত্যেকের বুকের নিভৃতে কিছু দগ্ধ ক্ষত থাকে লুকানো, কিছু অসম্পূর্ণ নির্মাণ, ভাংগাচোরা গেরস্হালি ঘরদোর, প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু নিদ্রাহীন রাত্রি থাকে যাকে চিরদিন নষ্ট নোখের মতো রেখে দিতে হয় কোমল অনিচ্ছার বাগানে যাকে শুধু লুকিয়ে রাখাতেই সুখ, নিজের নিভৃতে রেখে গোপনে পোড়াতেই একান্ত পাওয়া।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
১১। ধ্রুপদী আঙিনা ব্যাপী কন্টকিত হাহাকার আর অবহেলা, যেন সে উদ্ভিদ নয় তাকালেই মনে হয় বিরান কারবালা।
– হেলাল হাফিজ
১২। তোমার দুচোখে এক অস্পষ্ট স্বপ্নের ছায়া, তুমি ভেসে যাও, ভেসে ভেসে চিনে নাও দূরবর্তী কূলের ঠিকানা, অথবা নিজের মুখ দ্যাখো তুমি নিসর্গে, নির্জন আয়নায়।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
১৩। বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই, মন ভালো নেই; ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা সারাদিন ডাকি সাড়া নেই, একবার ফিরেও চায় না কেউ পথ ভুলকরে চলে যায়, এদিকে আসে না আমি কি সহস্র সহস্র বর্ষ এভাবে তাকিয়ে থাকবো শূন্যতার দিকে?
– মহাদেব সাহা
১৪। এই শূন্য ঘরে, এই নির্বসনে কতোকাল, আর কতোকাল! আজ দুঃখ ছুঁয়েছে ঘরবাড়ি, উদ্যানে উঠেচে ক্যাকটাস্ত কেউ নেই, কড়া নাড়ার মতো কেউ নেই, শুধু শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস, এই দীর্ঘ পদধ্বনি।
– মহাদেব সাহা
১৫। পরমাণু বোমার চেয়েও শক্তিশালী বোমা হলো মানুষের বুকফাটা কান্না, একটা বোমা ফাটার শব্দ সারাবিশ্ব শুনতে পায় অথচ মানুষের বুকফাটা কান্না পাশে বসে থাকলেও কেউ শুনতে পায় না।
-রেদোয়ান মাসুদ
১৬। আজ বিষাদ ছুঁয়েছে বুক, বিষাদ ছুঁয়েছে বুক মন ভালো নেই, মন ভালো নেই; তোমার আসার কথা ছিলো, তোমার যাওয়ার কথা ছিলো – আসা-যাওয়ার পথের ধারে ফুল ফোটানোর কথা ছিলো সেসব কিছুই হলো না, কিছুই হলো না; আমার ভেতরে শুধু এক কোটি বছর ধরে অশ্রুপাত শুধু হাহাকার শুধু শূন্যতা, শূন্যতা।
– মহাদেব সাহা
১৭। চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয় চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
১৮। জীবনে যে পরিমান ভালোবাসা পেয়েছি তা দিয়ে কয়েক হাজার বছর বেঁচে থাকা সম্ভব কিন্তু জীবনে গুটি কয়েকজন মানুষের কাছ থেকে যে পরিমান অবহেলা পেয়েছি তা দিয়ে একদিনও বেঁচে থাকা সম্ভব না।
-রেদোয়ান মাসুদ
১৯। আমি একা এই ব্রহ্মান্ডের ভেতর একটি বিন্দুর মতো আমি একা।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
২০। হয়তো আবার একাও থাকবো, কিন্তু সত্যি বলছি একটা সম্পূর্ণ দিন আমরা কিছুই করবনা।।এই হেমন্তে যে নদী মৃত্যুর প্রস্তুতি নেবে আগামী শীতের,তার মতো আমরাও প্রস্তুত হবো আমাদের একটা সারাদিনের জন্নে,এই হেমন্তে।
– নির্মলেন্দু গুণ (একাকীত্ব নিয়ে উক্তি)
২১। যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে! ছবি আমার বুকে বেঁধে পাগল হ’লে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মর” কানন গিরি, সাগর আকাশ বাতাস চিরি’ যেদিন আমায় খুঁজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
– কাজী নজরুল ইসলাম
২২। স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে, কাহার যেন চেনা-ছোঁওয়ায় উঠবে ও-বুকে ছমকে,- জাগবে হঠাৎ চমকে! ভাববে বুঝি আমিই এসে ব’সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে, ধরতে গিয়ে দেখবে যখন শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন! বেদনাতে চোখ বুঁজবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
– কাজী নজরুল ইসলাম
২৩। কিছু মানুষের কষ্ট চোখ দিয়ে ঝরে
কিছু মানুষের কষ্ট মেজাজ দিয়ে প্রকাশ করে
কিছু মানুষের কষ্ট হৃদয়ের মাঝে শুকিয়ে মরে
তবে কষ্টকে যারা প্রকাশ করতে না পারে,
তারাই জীবনে সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে।
– রেদোয়ান মাসুদ
২৪। আসবে আবার শীতের রাতি, আসবে না’ক আর সে- তোমার সুখে প’ড়ত বাধা থাকলে যে-জন পার্শ্বে, আসবে না’ক আর সে! প’ড়বে মনে, মোর বাহুতে মাথা থুয়ে যে-দিন শুতে, মুখ ফিরিয়ে থাকতে ঘৃণায়! সেই স্মৃতি তো ঐ বিছানায় কাঁটা হ’য়ে ফুটবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
– কাজী নজরুল ইসলাম
নিঃসঙ্গতার উক্তিঃ
২৫। দিনশেষে আমরা সবাই একা।
-অজানা
২৬। তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা-বন্ধ, আমার মতন কেঁদে কেঁদে হয়ত হবে অন্ধ- সখার কারা-বন্ধ! বন্ধু তোমার হানবে হেলা ভাঙবে তোমার সুখের মেলা; দীর্ঘ বেলা কাটবে না আর, বইতে প্রাণের শান- এ ভার মরণ-সনে বুঝ্বে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
– কাজী নজরুল ইসলাম
২৭। গাইতে ব’সে কন্ঠ ছিঁড়ে আসবে যখন কান্না, ব’লবে সবাই-“ সেই যে পথিক তার শেখানো গান না?’’ আসবে ভেঙে কান্না! প’ড়বে মনে আমার সোহাগ, কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ! প’ড়বে মনে অনেক ফাঁকি অশ্র”-হারা কঠিন আঁখি ঘন ঘন মুছবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে!
– কাজী নজরুল ইসলাম
২৮। ছবি আমার বুকে বেধে পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মরু কানন গিরি সাগর আকাশ বাতাশ চিরি সেদিন আমায় খুজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
২৯। গাইতে গিয়ে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না বলবে সবাই- সেই যে পথিক তার শোনানো গান না?- আসবে ভেঙ্গে কান্না, পড়বে মন আমার সোহাগ কন্ঠে তোমার কাদবে বেহাগ পড়বে মনে আমার ফাকি অশ্রুহারা কঠিন আখি ঘন ঘন মুছবে, বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
৩০। আসবে আবার আশিন হাওয়া, শিশির ছেচা রাত্রি থাকবে সবাই- থাকবে না এই মরন পথের যাত্রীই আসবে শিশির রাত্রি, থাকবে পাশে বন্ধু সুজন থাকবে রাত বাহুর বাধন বধুর বুকের পরশনে আমার পরশ আনবে মনে বিষিয়ে ও বুক উঠবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
৩১। তোমার সখার আসবে যেদিন এমনি কারা বন্ধ আমার মত কেদে কেদে হয়তো হবে অন্ধ সখার কারা বন্ধ, বন্ধু তোমার হানবে হেলা ভাঙ্গবে তোমার সুখের খেলা দীর্ঘ লো কাটবে না আর বইতে প্রাণ শ্রান্ত এ ভার সরন মনে যুঝবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
৩২। ফুটবে আবার দোলন চাপা, চৈতি রাতের চাদনী আকাশ ছাওয়া তারায় তারায় বাজবে আমার কাদনি চৈতি রাতের চাদনী ঋতুর পরে ফিরবে ঋতু সেদিন হে-মোর সোহাগ ভীতু চাইবে কেদে নীল নভোগায় আমার মত চোখ ভরে চায় যে তারা, তায় খুজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
৩৩। আমার বুকের যে কাটা ঘা, তোমায় ব্যাথা হানত সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়তো হয়ে শ্রান্ত আসব তখন পান্থ, হয়তো তখন আমার কোলে সোহাগ লোভে পড়বে ঢোলে আপনি সেদিন সেধে-কেদে চাপবে বুকে বাহুয় বেধে চরন চুমে পূজবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
৩৪। তুমি জানো না__আমি তো জানি, কতোটা গ্লানিতে এতো কথা নিয়ে এতো গান, এতো হাসি নিয়ে বুকে নিশ্চুপ হয়ে থাকি।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৩৫। কখনও কখনও মানুষ সুখের চেয়ে দূঃখকেই বেশি পছন্দ করে। মানুষ যখন একটানা দীর্ঘ সময় কষ্টে থাকে তখন কষ্টের সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায়। আর সে কখনও চায় না সেই কষ্টের স্মৃতিগুলো ভুলে সুখের সঙ্গী হতে। তাই পিছনে ফেলে আসা কষ্টের স্মৃতিগুলোই সবসময় তাকে তাড়া করে বেড়ায়। আর এ কষ্টগুলোই তখন তার কাছে সুখের চেয়ে বড্ড মধুর লাগে।
– রেদোয়ান মাসুদ
৩৬। আত্মগত আমি আবার নিজের কাছে প্রশ্ন করি নিঃশব্দের এমন রাতে বুকের মাঝে শব্দ কেন?
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৩৭। কিছু কিছু মানুষের জন্য এ পৃথিবীটা কোন উপযুক্ত স্থান নয়, তাদের জন্য এ পৃথিবীটা যেন এক সমুদ্র জল।
– রেদোয়ান মাসুদ
৩৮। যেতে যেতে এই বাস থেমে যাবে বকুল তলায় যাত্রীরা পড়বে নেমে যে যার মতোন।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৩৯। মাঝে মাঝে বৃষ্টি নামে, একঘেয়ে কান্নার সুরের মতো সে-শব্দ। আমি কান পেতে শুনি। বাতাসে জামগাছের পাতায় সরসর শব্দ হয়। সব মিলিয়ে হৃদয় হা-হা করে উঠে। আদিগন্ত বিস্তৃত শুণ্যতায় কি বিপুল বিষণ্নতাই না অনুভব করি। জানালার ওপাশের অন্ধকার থেকে আমার সঙ্গীরা আমায় ডাকে। একদিন যাদের সঙ্গ পেয়ে আজ নিঃসঙ্গতায় ডুবেছি।
– হুমায়ূন আহমেদ
৪০। প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পুড়িয়ে মারি প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পাঠাই নির্বাসনে ভালবাসা কি ভীষণ প্রতারক হৃদয় ভেঙেছে যার সেই জানে।
– জয় গোস্বামী
৪১। নিসঙ্গ টেবিলে পা তুলে অসভ্য ভাষায় আমি একাকি বোসে আছি নিখুঁত পোট্রেট।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৪২। বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন, এইতো মাধুরী, এইতো অধর ছুঁয়েছে সুখের সুতনু সুনীল রাত! তুমি জানো নাই__আমি তো জানি। মাটি খুঁড়ে কারা শস্য তুলেছে, মাংশের ঘরে আগুন পুষেছে, যারা কোনোদিন আকাশ চায়নি নীলিমা চেয়েছে শুধু, করতলে তারা ধ’রে আছে আজ বিশ্বাসী হাতিয়ার।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
৪৩। বিদায়ের সেহনাই বাজে নিয়ে যাবার পালকি এসে দাঁড়ায় দুয়ারে সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে এই যে বেঁচে ছিলাম দীর্ঘশ্বাস নিয়ে যেতে হয় সবাইকে অজানা গন্তব্যে হঠাৎ ডেকে ওঠে নাম না জানা পাখি অজান্তেই চমকে ওঠি জীবন, ফুরালো নাকি! এমনি করে সবাই যাবে, যেতে হবে…।
– রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
বাণী